সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র, যে প্রতিক্রিয়া সৌদি ও পাকিস্তানের

সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র, যে প্রতিক্রিয়া সৌদি ও পাকিস্তানের

নতুন দিকে মোড় নিয়েছে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত। টানা ৯ দিন বিভিন্ন হুমকি-ধমকির পর অবশেষে এ সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘পরম বন্ধু’ ইসরায়েলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানের ফর্দ, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহান— তিন পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটি। হামলায় ব্যবহার হয়েছে ভয়ংকর বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন এই হামলা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে; তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে।

রোববারের (২২ জুন) এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সৌদি আরব। এক বিবৃতিতে এই হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ইরানের ঘটনাবলী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় সৌদি আরব গভীর উদ্বেগের সাথে নজর রাখছে।

বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে ‘সংযম অনুশীলন’, উত্তেজনা হ্রাস এবং আরও উত্তেজনা রোধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক সমাধান অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।

ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার মধ্যেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানও। এই হামলার পর আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

পাকিস্তান বলেছে, আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সব নিয়ম লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ সনদের অধীনে ইরানের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার এবং অবিলম্বে সংঘাতের অবসানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে আহ্বানও জানিয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২২ জুন) রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান। পরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানে চালানো এ হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ সময় ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে, যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি। মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেওয়া; সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেওয়া।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 tulshigonga24.com privacy-policy Contact Us About Us
Design BY NewsTheme